অনলাইন ডেস্ক : করোনা মহামারীতে ইউরোপের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আরও বেশি পদক্ষেপ নিচ্ছে। বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস শনাক্তের সংখ্যা এরই মধ্যে ২ কোটি ১০ লাখ পেরিয়ে গেছে। রয়টার্স।

যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বলেছে, করোনার সংক্রমণের গতি কমাতে সেপ্টেম্বর মাসজুড়ে কানাডা ও মেক্সিকো সীমান্তে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হচ্ছে।

যুক্তরাজ্য তাদের দেশে আসা ফ্রান্সের নাগরিকদের জন্য দুই সপ্তাহের কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক করেছে। গতকাল থেকে কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক দেশগুলোর তালিকায় ফ্রান্সকে যুক্ত করা হয়েছে। প্যারিসের পুলিশ সতর্ক করে বলেছে, মহামারী পরিস্থিতি খারাপ হলে মাস্ক পরার বিষয়টি বাধ্যতামূলক হতে পারে। স্পেন জানিয়েছে, তারা সব নাইট ক্লাব বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি রাস্তায় ধূমপানের বিষয়টি বন্ধ করতে যাচ্ছে।

জার্মানি বলেছে, স্পেনের সব নাগরিককে তাদের দেশে ঢুকতে করোনা নেগেটিভ সনদ বা ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন থাকার প্রমাণ দেখাতে হবে। অস্ট্রিয়া, আলবেনিয়া ও সাইবেরিয়াতেও কঠোর নিয়ম জারি করা হয়েছে।

স্পেনের পাশাপাশি ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডস এখন যুক্তরাষ্ট্রের কোয়ারেন্টিন তালিকায় যুক্ত হয়েছে। এ দেশগুলোকে প্রথম কোয়ারেন্টিন ছাড় দিয়েছিল দেশটি।

নিউজিল্যান্ডে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় তরঙ্গ শুরু হয়েছে। দেশটির সবচেয়ে বড় শহর অকল্যান্ড ১২ দিনের লকডাউনে চলে গেছে। দেশটির প্রথম তরঙ্গের করোনা সংক্রমণ ঠেকানোর সফল প্রচেষ্টা বিশ্বজুড়ে প্রশংসা পেয়েছে।