অনলাইন ডেস্ক : নিউ ব্রান্সউইক পুলিশ কমিশনের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের জুনে পুলিশের গুলিতে ব্রিটিশ কলম্বিয়ার আদিবাসী নারী চাতেল মুরের নিহত হওয়ার ঘটনায় কনস্টেবল জেরমি সনের কোন দোষ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হচ্ছে না। জেরমি হত্যার ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটির প্রধান মার্ক লেগার গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ওই ঘটনায় কনস্টেবল জেরমি সনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের পক্ষে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাছাড়া কনস্টেবল যে তার পেশাগত দায়িত্বের বাইরে কিছু করেছেন বলেও প্রমাণ হয়নি। তাই এখানে পুলিশের কোন দোষ আছে বলে মনে হচ্ছে না। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, তদন্তকারীরা অভিযোগকারী এবং পুলিশ উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে। তবে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না। এদিকে নিহত চাতেল মুরের পরিবার ওই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের আইনজীবী টি জে বুরকি বলেছেন, তারা বিষয়টি নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাবেন। প্রসঙ্গত, ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার আদিবাসী নারী চাতেল মুর তার মা ও মেয়েকে নিয়ে নিউ ব্র্যান্স উইকের এডমনডস্টোন সিটিতে বসবাস করতেন। ২০২০ সালের ৪ জুন তাদের অ্যাপার্টমেন্টে নিয়মিত তল্লাশির সময় কনস্টেবল সনের গুলিতে নিহত হন মুর। এই ঘটনায় সে সময় নিউ ব্রান্স উইকসহ গোটা কানাডায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। বিশেষ করে আদিবাসীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করে। কনস্টেবল সনের বিচারের দাবিতে তারা সোচ্চার হন। অন্যদিকে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে গিয়ে সন বলেন, তল্লাশির এক পর্যায়ে ওই নারী তাকে ছোড়া হাতে আক্রমণ করেন। তিনি নিজেকে রক্ষার জন্য গুলি চালাতে বাধ্য হন।

মুরের মৃত্যুর ঘটনায় আন্দোলনের মুখে সরকার বেশ কয়েকটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কুইবেক পুলিশ, ব্যুরো অব ইন্ডিপেন্ডেন্ট এনকুয়ারিসহ বিভিন্ন সংস্থা ঘটনা তদন্ত করলেও কোন রিপোর্টই এতদিন প্রকাশ করা হয়নি। এদিকে এই ঘটনায় দায়ের করা মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২২ ফেব্রæয়ারি দিন ধার্য রয়েছে। নিউ ব্রান্স উইক পুলিশ প্রশাসন আশা করছে ওই দিন কনস্টেবল সনকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।

প্রাদেশিক পুলিশ কমিশনের গঠিত তদন্ত দলের প্রধান মার্ক লেগার বলেছেন, তারা ২০ জনেরও বেশি সাক্ষীর সাথে কথা বলেছেন। সবাই তাদেরকে তদন্ত কাজে যথেষ্ট সহায়তা করেছে। সূত্র : সিবিসি