অনলাইন ডেস্ক : আদানি ঘুষ-কাণ্ডে যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি)-র তদন্ত চেয়ে ভারতের বিরোধী দলীয় জোট ‘ইন্ডিয়া’র ধারাবাহিক বিক্ষোভে বৃহস্পতিবার দেখা গেলো নতুন চমক। কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, আরজেডি, ডিএমকে, উদ্ধবসেনার সাংসদদের পরনে দেখা গেল কালো রঙের জ্যাকেট। তাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্লোগান ঈষৎ উল্টে লেখা ‘মোদী-আদানি এক হ্যায়। আদানি সেফ হ্যায়’! বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী জ্যাকেট পরেননি। কিন্তু তার সাদা টি-শার্টে সাঁটা ছিল একই স্লোগান লেখা স্টিকার।
তবে সংসদ ভবনের মূল প্রবেশপথ মকর দ্বারের সামনে আজ বৃহস্পতিবার দেশের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ বিরোধী দল বিক্ষোভে অংশ নিলেও দেখা যায়নি তৃণমূল সাংসদদের। এ প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের সাংসদ কীর্তি আজাদের মন্তব্য, ‘‘আমাদের আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু রয়েছে। মূল্যবৃদ্ধির মতো বিষয় রয়েছে। সেগুলি আমার সংসদের অধিবেশনে তুলে ধরব।’’ প্রসঙ্গত, এবার মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা ভোটের প্রচারে মোদী ধারাবাহিক ভাবে ‘এক হ্যায় তো সেফ’ হ্যায় স্লোগান দিয়েছেন। মেরুকরণের উদ্দেশ্যেই তার ওই ‘বার্তা’ ছিল বলে অভিযোগ বিরোধীদের।
মার্কিন আদালতে আদানিদের বিরুদ্ধে ‘প্রমাণ-সহ অভিযোগপত্র’ (ইনডিক্টমেন্ট) জমা পড়েছে গত ২০ নভেম্বর। সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের বরাত পাওয়ার বিনিময়ে ভারতের ভিন্ন সরকারি আধিকারিকদের (মন্ত্রী এবং আমলা) ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে গৌতম আদানি এবং তার ভাইপো সাগরসহ সাত জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে তাতে। শীতকালীন অধিবেশনের গোড়া থেকেই আদানিকাণ্ডের তদন্তে জেপিসি গঠনের দাবিতে সরব কংগ্রেস-সহ ‘ইন্ডিয়া’র শরিকরা। কিন্তু তাতে শরিক হয়নি তৃণমূল। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গের ডাকা বৈঠকে গরহাজির থেকেছেন তৃণমূল সাংসদেরা। বিরোধীদের কক্ষ সমন্বয়েও তাঁরা শামিল হননি।
তৃণমূলের রাজ্যসভা নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বুধবার এ প্রসঙ্গে বলেছিলেন, “সংসদে বিজেপির কুকীর্তিকে প্রকাশ্যে আনার সার্বিক কৌশলের ক্ষেত্রে আমরা সবাই একজোট। তবে বিভিন্ন দলের সেই কৌশলকে বাস্তবায়িত করার বিভিন্ন উপায় থাকতেই পারে।”