অনলাইন ডেস্ক : আর্মেনিয়া-আজারবাইজানের মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে। এরই মধ্যে তুরস্ক মিত্র আজারবাইজানে চার হাজার যোদ্ধা পাঠিয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
উত্তর সিরিয়া থেকে এই যোদ্ধাদের আজারবাইজানে পাঠায় আঙ্কারা।
মঙ্গলবার ইন্টারফেক্স এবং আরআইএ নিউজ এজেন্সি রাশিয়ায় আর্মেনিয়ার রাষ্ট্রদূত ভারদান তোগানিয়ানের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানায়।
রাষ্ট্রদূত বলেন, এই যোদ্ধারা আজারবাইজানের সমর্থন নিয়ে নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে যুদ্ধে অংশ নিচ্ছে।
তবে আর্মেনিয়ার এ তথ্য অস্বীকার করেছে আজারবাইজান। তারা বলছে, এটি আর্মেনিয়ান পক্ষের একটি উস্কানি এবং সম্পূর্ণ বাজে কথা।
এদিকে রবিবার তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রেসেপ তাইয়েপ এরদোগান আজারবাইজানের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে। তিনি বলেছেন, এই অঞ্চলে শান্তির জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি আর্মেনিয়া।
এদিকে রাশিয়া, যাদের আর্মেনিয়ায় সামরিক ঘাঁটি রয়েছে তারা অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে।
বিবাদপূর্ণ নাগোরনা-কারাবাখ অঞ্চল ঘিরে প্রতিবেশী এই দুই দেশের মধ্যে নতুন করে এই লড়াই বাধল।
এই অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের অংশ হিসেবে স্বীকৃত। তবে জাতিগতভাবে এটি আর্মেনিয়ানদের দ্বারা পরিচালিত।
আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান উভয় ইতোমধ্যে কিছু কিছু অঞ্চলে সামরিক আইন ঘোষণা করেছে। আর্মেনিয়াকে চূড়ান্ত হুমকি দিয়েছে আজারবাইজান। দুই দেশের সামরিক বাহিনী ভারী অস্ত্র ব্যবহার করছে। উভয় পক্ষে ৩১ জন সেনা মারা যাওয়ার কথা বলা হচ্ছে।
আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দু’পক্ষই ভারী আর্টিলারি মোতায়েন করেছে। আজারবাইজানের শহর টেরটায় আর্মেনিয়ান বাহিনীর গুলিতে আগুন লেগেছে।
এর আগে ২০১৬ সালে এই দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সে সময় ২০০ জন মারা গিয়েছিল। দীর্ঘ সময় পর আবারো সংঘর্ষ শুরু হয়। সূত্র: আলজাজিরা, বিবিসি