অনলাইন ডেস্ক : সাবেক স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মতো বর্তমান আওয়ামী ‘স্বৈরশাসকের’ পতন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির নেতারা। তারা বলেন, জনগণ পুষে উঠেছে। এই জনগণের আন্দোলনে সাবেক সফল স্বৈরশাসক এরশাদের এতো এই সরকারের পতন হবে।
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তারা এসব কথা বলেন। হয়রানীমূলক মামলায় বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, দলের প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ সাতক্ষীরার ৩৪ জন নেতাকর্মী, পাবনায় ৪৭ জন নেতাকর্মীকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফরমায়েশী সাজা প্রদান এবং দলের বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমেদকে অযথা কারাগারে প্রেরণের ঘটনার প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর বিএনপি।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার পদক এই সরকার দেয় নাই। স্বাধীনতা পর-পর বাংলাদেশের জনগণ শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসে তাকে এই দিয়েছিলো। আপনার আইন দেখিয়ে, কোর্ট দেখিয়ে তা বাতিল করতে চান। এটা নিয়ে আইনমন্ত্রী আইনের কথা বলে। তারা স্বাধীনতা পদক নিয়ে কথা বলছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের অবস্থা তখন কি ছিলো? জাতি জানে।
নড়াইলে এক আদালতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দুই বছরের সাজা দিয়ে সরকার কি অর্জন করছে প্রশ্ন রেখে মির্জা আব্বাস বলেন, তারেক রহমানের নামে আপনারাই মামলা দিলেন। আবার আপনারাই সাজা দিলেন। আরে ভাই সাজা ২ বছর দেন আর দুইশত বছর দেন। লাভ কি? তারেক রহমানের যখন দেশে আসার সময় হবে, তখন আপনাদের সাজা হাওয়ায় উড়ে যাবে, কেউ কেউ পাত্তা দিবে না।
অনেক আগ থেকে জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র চলছে বলে দাবি করে মির্জা আব্বাস বলেন, এই জন্য জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হলো। এরপর দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার কি হাল ধরে নাই।
ক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগ অনেক কিছু করতে পারেন বলে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমি শুধু আমাদের নেতাকর্মীদের বলতে চাই, শিশু ছাড়া বাংলাদেশে বিএনপির এমন কোনও নেতাকর্মী নেই যার বিরুদ্ধে মামলা নেই। কেন, এতো মামলা, এতো খুন, এতো গুম। শুধু মাত্র ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য। কোনও স্বৈরাচারী সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে নাই, ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছে। তাদেরকেও ছাড়তে হবে।
কেউ আপনাকে গণতন্ত্র দিবে না আদায় করতে হবে বলে মন্তব্য করে মির্জা আব্বাস বলেন, অধিকার আদায় করতে হয়। জনগণ পুষে উঠেছে। এই জনগণের আন্দোলনে ফসল হিসেবে সফল স্বৈরশাসক এরশাদের এতো এই সরকারের পতন হবে।
সমাবেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বর্তমানে করোনাভাইরাসে বিশ্ববাসী আতঙ্কগ্রস্ত। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে আতঙ্কগ্রস্ত আলজাজিরা ভাইরাসে। এই আলজাজিরা ভাইরাসকে কাউন্টার করার জন্য নতুন নাটক তৈরি করা হচ্ছে জিয়াউর রহমানের খেতাব কেড়ে নেয়া এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়া।
রিজভী আরও বলেন,’আজকে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে হঠাৎ করে অন্যায়ভাবে কোনও সুযোগ না দিয়ে নড়াইলের একটি আদালতে তার বিরুদ্ধে সাজা দেয়া হলো। তারপর এখন আমরা কি দেখতে পাচ্ছি স্বাধীনতার ঘোষক জেড ফোর্সের অধিনায়ক জিয়াউর রহমানের নাকি খেতাব কেড়ে নেয়া হবে, এইগুলো কিসের জন্য হঠাৎ করে সামনে নিয়ে আসলেন? এর পেছনে সরকার এবং শেখ হাসিনা আছে।
কর্মসূচিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন,আব্দুল আউয়াল মিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলেসহ দলের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীলা উপস্থিত ছিলেন।