স্পোর্টস ডেস্ক : বিশ্বকাপের মঞ্চে মাঠে নামার আগে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছে বাংলাদেশ। কিন্তু পরপর দুটি ম্যাচ হেরে বসলেন তারা। দ্বিতীয় ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের কাছে ৩৩ রানের হারের স্বাদ পেল মুশফিকরা। এর আগে প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষেও জিততে পারেননি টাইগাররা।
আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস হেরে ছন্নছাড়া বোলিং করেছে টাইগাররা। শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৭৭ রান করে আয়ারল্যান্ড। জবাবে বাংলাদেশের ইনিংস গুটিয়ে যায় ১৪৪ রানে।
বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ব্যাকফুটে বাংলাদেশ। প্রথম তিন ওভারে বাংলাদেশ হারায় নাইম, লিটন ও মুশফিককে। প্রথম ওভারে ক্রেইগ ইয়ংয়ের বলে ৪ বলে ৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন নাইম শেখ। পরের ওভারেই জশ লিটলের বলে ১ রানে বোল্ড হন লিটন। এরপর আবার বোলিংয়ে আসেন ক্রেইগ ইয়ং। এবার ৪ রান করে ফেরেন মুশফিক।
এরপর সৌম্য-আফিফ মিলে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও সেটি বেশিদূর নিয়ে যেতে পারেননি। বেঞ্জামিন হোয়াইটের বলে আফিফের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। ১৭ রান করেন আফিফ হোসেন।
বাংলাদেশের পক্ষে রান পান সৌম্য সরকার ও নুরুল হাসান সোহান। ২ ছক্কা ও ১ চারে ৩০ বলে ৩৭ রান করে রান আউট হন সৌম্য সরকার ও ২৪ বলে ৩৮ রান করে মার্ক আডিয়ারের বলে ক্যাচ তুলে দেন সোহান। এছাড়া ১১ বলে ১৪ রান করেন তাসকিন। আর কোনো ব্যাটসম্যানের ব্যক্তিগত সংগ্রহ দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেনি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৪৪ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমেই বাংলাদেশ বোলারদের উপর চড়াও হয় আয়ারল্যান্ড। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে নাসুমকে টানা তিনটি চার হাঁকান পল স্টার্লিং। তবে ওভারের শেষ বলে নাসুমের বলে বোল্ড হন স্টার্লিং। ১৬ বলে ২২ রান করেন তিনি।
এরপর আইরিশ শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন তাসকিন। ম্যাচের অষ্টম ওভারে অ্যান্ড্রু বালবির্নি ও দশম ওভারে জর্জ ডকরেলকে সাজঘরে ফেরান তিনি। ২২ বলে ২৫ রান করেন বালবির্নি। ডকরেল ফেরেন ৯ বলে ৯ রান করে।
বালবির্নি আর জর্জ ডকরেল ফেরায় কিছুটা স্বস্তি আসে বাংলাদেশ দলে। দ্রুতই দুই উইকেট তুলে নিলেও আইরিশদের রানের চাকা আটকে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। চতুর্থ উইকেটে হ্যারি টেক্টরকে সঙ্গে নিয়ে ৯৯ রানের বিশাল জু্টি গড়েন ডেনলি। টেক্টর ২৩ বলে ২৩ রান করে অপরাজিত থাকলেও ৮টি ছক্কা আর ৩টি চারে মাত্র ৫৫ বলে ৮৮ রান করেন ডেনলি।
মোস্তাফিজের ৪ ওভারে আইরিশরা নিয়েছেন ৪০ রান। শরিফুল চার ওভারে দিয়েছেন ৪১ রান। এছাড়া তাসকিন আহমেদ ৪ ওভারে ২৬ রানের বিনিময়ে নিয়েছেন দুটি উইকেট। বল হাতে ৩ ওভারে ১৫ রান দিয়েছেন শেখ মাহেদি হাসান।
এ ম্যাচেও অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন না মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পিঠের ইনজুরির কারণে তাকে নিয়ে ঝুঁকি নেয়নি টিম ম্যানেজমেন্ট। প্রস্তুতি ম্যাচে তাই বাংলাদেশ দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন লিটন দাস। প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচের মতো এই ম্যাচটিও কোনো টিভিতে দেখায়নি।