অনলাইন ডেস্ক : সম্প্রতি দেশে বেশ কিছু সরকারি-বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপিত হচ্ছে। এ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা দূর করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বিনিয়োগকারীরা। ইতোমধ্যে এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশন (বেজিয়া)। গত ৩০ জুন এই চিঠি পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন সংগঠনের চেয়ারম্যান ও বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান।
সংগঠনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চলের যেকোনও একটিতে জমি ইজারা দেওয়ার জন্য আরোপিত ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বাস্তবায়নে বিচলিত সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীরা। তাছাড়া ইজারা নীতিমালার প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে বিনিয়োগকারীরা এসব ভাড়ায় নেওয়া জমির বিপরীতে ব্যাংক থেকে ঋণও নিতে পারবেন না।
এতে আরও বলা হয়, “বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) ভ্যাট সংক্রান্ত অপ্রত্যাশিত ওই চিঠি পাওয়ার পর আমাদের আত্মবিশ্বাস ও প্রত্যাশা চূর্ণবিচূর্ণ হয়েছে।”
বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা বিনিয়োগকারীরা অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর মধ্যে নির্বিশেষে শিল্প ইউনিটগুলোর জন্য সরবরাহ করা শুল্ক অবকাশ উপভোগ করতে চাই।”
বেজিয়া বলছে, বিনিয়োগকারীরা অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে ইজারা দেওয়া জমির হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় অনির্দিষ্টকালের বিলম্বের মুখোমুখি হচ্ছেন এবং বেজার প্রতিশ্রুতি অনুসারে সেখানে বিদ্যমান পরিকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধাগুলো থাকবে কিনা তা নিয়েও অনিশ্চিত রয়েছে।
চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে বন্দর সুবিধা নির্মাণ প্রকল্পও এর মধ্যে রয়েছে, যা ইতোমধ্যেই এর সমাপ্তির সময়সীমা ছাড়িয়ে গেছে।
বেজিয়া জানায়, এটা সত্য যে বিনিয়োগকারীদের ভ্যাট থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল এবং নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কর মওকুফও করা হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড একটি নোটিশ জারি করে ঘোষণা দেয় যে এখন থেকে জমি ইজারা দেওয়ার ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হবে।
সংস্থাটি বলছে, সম্ভাব্য ঋণগ্রহীতা জমির মালিক না হওয়ায় ব্যাংকগুলো অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগের জন্য ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে আগ্রহী নয়।