ডা: মোহাম্মদ ফতেহ আলী : Ladies and gentlemen in a few moments we’re departing for Toronto from Hazrat Shahjalal International Airport

টার্কিশ এয়ারলাইন্স-এর পাইলটের ঘোষণাটা এখনও প্রতিধ্বনিত হয় আর তখন যে বুকটা হাহাকার করে উঠেছিল ২০১১ সালের ৩০ মার্চ রাত ৯:৫০ এ তা স্পষ্ট মনে পড়ে। যে রাতে নিজের সব চেনা জগত, বাবা-মা, বন্ধুবান্ধব, স্বজন, স্থায়ী চাকরি ছেড়ে সম্পূর্ণ অজানা এক দেশের উদ্দেশ্যে স্বস্ত্রীক বাংলাদেশ ত্যাগ করি।

আমার স্ত্রী তখন ৬ মাসের সন্তানসম্ভবা, বেশ কাঁদছিল, একে তো সন্তান জন্ম দেবার উত্কন্ঠা অন্যদিকে যাচ্ছি দূরদেশে যেখানে সাহায্য করার কেউ থাকবে না। মোটকথা ওখানে আমাদের জন্য কোন নিশ্চিত কিছু বরাদ্দ থাকবে না, শূন্য থেকে শুরু করতে হবে। তার কান্না দেখে আমি দ্বন্দে পড়ে গিয়েছিলাম, ক্ষণিকের জন্য মনে হয়েছিল, অভিবাসী হবার সিদ্ধান্তটা কি ঠিক হল? বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পার হবার পর যখন আর কাউকে দেখা যাচ্ছিল না, তখন মনটা হঠাত খারাপ হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু স্ত্রীকে বুঝতে দেইনি। অভিবাসী মাত্রই এই অনুভুতির তীব্রতাটা অনুধাবন করতে পারবেন, নিছক বেড়াতে যাওয়া পর্যটকরা তা অনুভব করতে পারার কথা নয়।

যা হোক উডোজাহাজের উপর থেকে অল্প কিছু সময় রাতের ঢাকার সৌন্দর্য দেখার পর খেয়াল রাখতে হচ্ছিল স্ত্রীর কোন সমস্যা হচ্ছে কি না। নীলনয়না টার্কিশ বিমানবালাদের আতিথেয়তায় মুগ্ধ হতে হতে প্লেনটা করাচি পৌঁছল যেখানে ৪৫ মিনিট যাত্রাবিরতি ছিল, শুধু পাকিস্তানের কিছু যাত্রী নেমে গেল। এরপরের গন্তব্য ছিল ইস্তাম্বুল, তুরস্ক।

৬ ঘন্টা পর বিমানটি যখন কামাল আতাতুর্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইস্তাম্বুল, তুরস্কে পৌঁছল তখন স্থানীয় সময় ভোর ৬টা। প্রসঙ্গত ইস্তাম্বুল হল দুই মহাদেশের সাথে যোগসুত্র স্থাপনকারী শহর যা বসফরাস প্রণালীর দুপাশে অবস্থিত এশিয়া আর ইউরোপকে বিভাজিত করেছে এবং এই ইস্তাম্বুল ছিল রোমান, বাইজেন্টাইন, ল্যাটিন আর অটোম্যান সাম্রাজ্যের রাজধানী। এশিয়ার অংশে তুরস্কের অধিবাসীরা বসতবাড়ী নির্মাণ করে বাস করে আর ব্যবসা, চাকুরী, সাথে আবাসস্থল নির্মাণ করে বসবাসের জন্য ইউরোপের অংশ ব্যবহার করে যা দুটি সেতু দ্বারা সংযোজিত এবং দিনের বেলা প্রচুর যান চলাচলে কোলাহলপূর্ণ থাকে। সাধারণত বিশ্বের বেশিরভাগ শহর বিভিন্ন নদীর তীরে অবস্থিত, কিন্তু ইস্তাম্বুল হল ব্যাতিক্রম যেখানে সাগর শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে।

বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন শাখায় দাঁড়ানোর পর কর্মকর্তা আমাদের স্থায়ী অভিবাসী (কানাডায়) হবার কাগজপত্র বুঝছিলেন না, পরবর্তিতে একজন উর্ধতন কর্মকর্তা এসে যাচাই করার পর বোর্ডিং পাস দেয়া হয়, মাঝখানে এক ঘন্টা চলে যায়। এরপর সিকিউরিটির তল্লাশি শেষে আমরা একটা বিশাল লাউঞ্জে প্রবেশ করি যেখানে আমেরিকা ও কানাডাগামী যাত্রীরা অপেক্ষা করছিল। তখন হঠাত করে সব সাদা চামড়ার মানুষ দেখে মনটা দমে গিয়েছিল, কারণ এশিয়া পর্যন্ত কিছু আমাদের মত গাত্রবর্ণের মানুষ ছিল তাই খারাপ লাগছিল না, কিন্তু আকস্মিক এই রকম কালচারাল শকের প্রথম ধাক্কার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না, মনে হচ্ছিল পরের ফ্লাইটেই চলে আসব কিনা!

দীর্ঘ যাত্রার কারণে স্ত্রীর পা ফুলে গিয়েছিল, যার জন্য পা উঁচু করে বসে থাকতে হয়েছিল।
এর এক ঘন্টা পর টরন্টোগামী বিমানে আমরা চড়ে বসলাম। এখন হবে ১০ ঘন্টার ননস্টপ জার্নি। প্লেনটা তখন ৪৭০০০ ফিট উপরে আইসল্যান্ডের রাজধানী রিকযাভিকের উপর দিয়ে যাচ্ছিল। রিকযাভিকের জিওথারমাল লোকেশন অথবা আইসল্যান্ডের আগ্নেয়গিরির কারণেই হোক প্লেনটা বেশ আন্দোলিত হওয়া শুরু করল, পাইলটের ঘোষণা আসল সবার সিটবেল্ট বাঁধার জন্য। বেশ আতংকগ্রস্ত লাগছিল, প্রথম এই ধরনের অভিজ্ঞতা। মনে মনে যত দোয়া-দরুদ জানতাম পরতে লাগলাম। প্রায় ১৫ মিনিট থেমে থেমে এই বাতাসের সাথে প্লেনটাকে স্থির রাখার জন্য পাইলটের কসরত চলল। এদিকে টরন্টো যত এগিয়ে আসতে লাগল, ঠান্ডা বাতাসের তীব্রতা পাল্লা দিয়ে বাড়তে লাগল।

এরও কয়েকঘন্টা পর ঘোষণা আসল আর অল্পক্ষণ পর আমরা টরন্টো অবতরণ করতে যাচ্ছি। ল্যান্ডিংয়ের সময় উপর থেকে টরন্টো শহরের নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখতে দেখতে প্লেনটা মাটি স্পর্শ করল, তখন স্থানীয় সময় ছিল দুপুর ২টা আর তাপমাত্রা ছিল ৩ ডিগ্রি যা হিমাংকের নীচে মাইনাস ১৫ ডিগ্রি অনুভুত হচ্ছিল। এরপর ইমিগ্রেশন অফিসারের ডেস্কের সামনে আসলাম। আমার স্ত্রীর পা ফুলে যাবার কারণে (ভয়ে ছিলাম deep vein thrombosis হয় কিনা) ও বার বার পা পরিবর্তন করছিল যা দেখে ওই কর্মকর্তা জিজ্ঞেস করেছিলেন is she pregnant? আমি হাঁ বোধক উত্তর দেয়ায় উনি দ্রæত পাসপোর্ট আর ইমিগ্রেশন ডকুমেন্ট চেক করে welcome to Canada new comer booklet হাতে ধরিয়ে লাগেজ ক্লেইম এরিয়ায় যেতে বললেন। লাগেজ সংগ্রহ করে বের হওয়া মাত্রই তীব্র ঠান্ডা বাতাসে সারা শরীর কেঁপে উঠল। মহসিন ভাই নিতে এসেছিলেন, পরবর্তিতে আমরা যতদিন টরন্টো ছিলাম উনি একরকম আমাদের অভিভাবক হিসেবে ছিলেন। হেলেন আপা আমাদের জন্য অনেক করেছেন, তা আমরা অনুধাবন করি।

এরপর দিন থেকে শুরু হল সংগ্রামমুখর জীবনের অধ্যায় যা কালচারাল শক নামে পরিচিত, নেটিভদের উচ্চারিত ইংরেজি বুঝা আর দেশে বসে ইংরেজি চর্চার মধ্যে যে কি বিস্তর ফারাক তা হারে হারে টের পাওয়া শুরু করলাম। সাবওয়ে (আমরা যা পাতাল রেল বলে থাকি) ট্রেনের মাসিক পাস কিনতে গিয়েছি, আমার আর কালেক্টর অফিসারের কথোপকথন নিম্নরূপ-

Me- I want to buy a Metro pass for the month of April.
Officer- you should start with, can I buy a metro pass? (প্রসঙ্গত: এখানে আপনি যা কিছুই চাহিদা প্রকাশ করুন বা কথা বলতে চান সব সময় can I or may ও দিয়ে শুরু করতে হবে যা এখানকার ভদ্রতা) বেশ একটা ধাক্কা খেলাম।

পরদিন গেলাম স্ত্রীর জন্য আল্ট্রাসনোগ্রাফী করতে আর ডাক্তার দেখাতে। এখানে নিয়ম হচ্ছে সবাই একটা হেল্থ কার্ডের মাধ্যমে ওই প্রদেশের স্বাস্থ্যসুবিধা পাবে, কিন্তু নতুন যারা আসবে তাদের ৩ মাস পর ওই প্রদেশে বসবাস সাপেক্ষে বাসা ভাড়ার কাগজপত্র প্রদর্শনপূর্বক তারা তা হাতে পাবে এবং পুরোটাই সরকারি আর খরচ সরকার দিবে। আমাদের কোন হেল্থ কার্ড নেই , তখন এপ্রিল মাস, নিয়ম অনুযায়ী জুলাই মাসের ১ তারিখ পাব, এর মধ্যে কিছু হলে আমাদের পে করতে হবে, যা কিনা অতিমাত্রায় ব্যয়বহুল আর তা ভেবে পিলেটা চমকে উঠল।

গেলাম একটা মিশনারি পরিচালিত নতুন অভিবাসীদের জন্য বিনা খরচে শুধুমাত্র আল্ট্রাসনোগ্রাফী করা যাবে এমন জায়গায়। সেটা হল, কিন্তু ডাক্তার দেখাতে হলে হেল্থ কার্ড লাগবে। ক্যাশ পে করে দেখানো যায়, কিন্তু তখন আর তা করিনি। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল এমন যে আর ৩ মাস এর মধ্যে হলে চার্জ করবে তবে আমরা ধাপে ধাপে তা শোধ করে দিব, আর জুলাই মাস আসলে তো আর সমস্যা নেই। উল্লেখ্য ওর সম্ভাব্য তারিখ ছিল জুলাই এর ১২ তারিখ+ ৭ দিন। আমরা অপেক্ষা করতে থাকি কবে জুলাই মাস আসবে আর এর মধ্যে সরকারি লোনের জন্য আবেদন করি। ১ মাস পর তার রিপ্লাই আসে আমার স্ত্রী কাজ করতে পারে যার জন্য আমরা তা পাব না, এদেশে মাতৃত্বের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কর্মক্ষম ধরা হয়।

এদিকে আমি কাজ শুরু করার জন্য বিভিন্ন অফিসে যাওয়া শুরু করলাম, কিন্তু যেই মাত্র শুনে আমি ডাক্তার হবার জন্য এসেছি আর এদেশে চিকিত্সক হিসেবে ক্যারিয়ার করতে চাই তখন সব অফিসেই এক কথা..sorry we don’t have any opportunity for doctors, better you try for something else. ধীরে ধীরে সমস্যার ভয়াবহতা বুঝতে শুরু করলাম আর জানতে পারলাম কানাডায় চিকিত্সক হবার প্রক্রিয়াটা কঠিনভাবে Medical Council of Canada দ্বারা সরকারিভাবে নিয়ন্ত্রিত আর যারা Regulatory Authority মানে পুরো ব্যবস্থাটা নিয়ন্ত্রণ করে তাদের কেউ দেখেনি মানে একমাত্র যখন আপনি সব পরীক্ষা শেষ করে licentiate of Medical Council of Canada (LMCC) এর MD degree পাবেন তখন এইসব employer দের আপনি বাস্তবে দেখার সুযোগ পাবেন, আর অবশ্যই interview এর ডাক পেলে, এর আগে কোনভাবেই নয়। বুঝলাম এ রাজচক্র এ দুরুহ ও অনতিক্রম্য। এদিকে কোন কাজ নেই, নিকট ভবিষ্যতে কখন হবে তা অনিশ্চিত, বাসায় স্ত্রী একা, দূরে কোথাও যেতে পারছি না পাছে হঠাত যদি ওর প্রসববেদনা উঠে যায়। দুশ্চিন্তায় রাতে ঘুম আসে না, সব জায়গায় হতাশাব্যঞ্জক কথাবার্তা।

কেউ বলল সামাজিক সাহায্য নাও (Social assistance) যা কিনা সরকার কর্তৃক বরাদ্দ তাদের জন্য যারা সংসারের ব্যয়ভার সামলাতে পারছে না। কেউ বলল, ওরা কিন্তু গাছের পরে যাওয়া পাতা টোকাতেও ডাকে, ইত্যাদি। এসব শুনে আর গেলাম না। কিন্তু কেউ কেউ তা নিয়ে অসুস্থ হবার ভান করত আর এদেশের অথরিটি মুখের কথাই বিশ্বাস করে। তবে এরা চেস্টা করে আবেদনকারীকে চাকরির উপযোগী করে তুলে একটা কাজ দেয়ার জন্য, কারন সরকার থেকে তার একটা চাপ থাকে চাকরিদাতাদের উপর। সবাই ভান করেনি, অনেকে ওই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে কিছু এন্ট্রি পোস্টে চাকরি পেয়েছে ।এর মধ্যে একজন সংগীর আগমন ঘটল, Shameem Ahsan Mohabullah যার আস্বাস আর বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহার আমাদের পথ চলা সহজ করে দিয়েছিল। সত্যি শামীম ভাই আপনার কথা আমাদের সবসময় মনে থাকবে।

এরপর সেই বহুল প্রতিক্ষিত জুলাই মাসের ১ তারিখে ডাকযোগে হেল্থকার্ড আসে আর অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ৯ জুলাই লেবার পেইন উঠে, জাহাংগীর মামার গাড়ীসহযোগে টরন্টো ইস্ট জেনারেল হাসপাতালে যাবার পর ১০ তারিখ আমাদের প্রথম সন্তান রিখিয়ার জন্ম হয়।সে এক স্বর্গীয় অনুভুতি, ভাষায় প্রকাশযোগ্য নয়। এরপর এক এক করে সমস্যার জট খুলতে থাকে।

এদেশে বলে in order to achieve success you need to set two targets-
1. Short term goal- like what you need to concentrate at this time and in next few months like to pay the bills, house rent etc.
2. Long term goal- like what you would like to be in future either to be a professional or just doing the survival jobs and pass time.
আমি লোন নিয়ে পড়া শুরু করলাম, একটা ডিপ্লোমা প্রোগ্রামে ভর্তি হয়েছিলাম যা কাজে আসেনি, পরবর্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাবলিক হেল্থে পড়লাম আর পাশাপাশি MD Degree এর licence এর জন্য পড়া শুরু করলাম। বেশ কঠিন সময় শুরু হল, দিনের বেলা ক্লাস, এসাইনমেন্ট , গ্রুপ প্রেজেন্টেশন এ ব্যস্ত, সন্ধ্যায় আমার ইরানী পার্টনার ডা: আমির আলী আজিমজাদেহ এর সাথে ক্লিনিক্যাল কেস নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা প্র্যাকটিস। কারন পরীক্ষায় আপনার একাডেমিক নলেজ এর সাথে আপনি কিভাবে রোগীর সাথে ব্যবহার করছেন, আপনার ইংরেজি জানার দৌড়, কমিউনিকেশন স্কিল, সর্বোপরি আপনি নিরাপদ ডাক্তার কিনা তা পরিক্ষকরা পরীক্ষা করে দেখবে আর রোগী আপনাকে একটা চ্যালেঞ্জ কোশ্চেন করবে, যার উত্তর আপনার জানা থাকতে হবে, এবং এরা কেউ আসলে রোগী নয়, কর্তৃপক্ষ এদেরকে পে করে বসিয়েছে, কেউ চেস্ট পেইন এর, কেউ পেট ব্যথার, কেউ ডিপ্রেশনের , কেউ ৩৩ সপ্তাহের গর্ভবতীর ভূমিকায় অভিনয় করে, বাস্তবে ওরা কেউ এক্টর, কেউ পেইন্টার, কেউ ছাত্র ইত্যাদি।

এরমধ্যে প্রীতি খালা আর হামিদ খালুর গুয়েল্ফ শহরের বাড়ীতে বেড়াতে যাওয়া ছিল ক্লান্ততার মধ্যে এক প্রশান্তির পরশ।

তারপর নায়াগারা জলপ্রপাত দিয়ে অনেক পানি বয়ে গিয়েছে, আমাদের দ্বিতীয় সন্তানের আগমন ঘটেছে, শেষ পর্যন্ত দীর্ঘ পরিশ্রম ও লেগে থাকার পর (আট বছর) এখন আমি এদেশে একজন চিকিত্সক হতে পেরেছি। আর বিউটি এই যে, আমার যে ৪০,০০০ ডলার স্টুডেন্ট লোন আছে এদেশের সরকার তা সম্পুর্ণ মওকুফ করে দিবে যেহেতু আমি এখন চিকিত্সক হিসেবে সেবা দিয়ে যাব। জীবন এখন সম্পুর্ণ অন্যরকম যা অভাবনীয়।
তবে যারা অভিবাসী হতে চান, যদি প্রফেশনাল জব করে বিদেশে সেটেল হতে চান, তার জন্য সহজ কোন রাস্তা নেই, বিশেষ করে উন্নতবিশ্বে চিকিত্সক হতে চাইলে কঠিন সংগ্রাম করতে হবে, ওরা এত সহজে ওদের অধীবাসীদের আপনার হাতে ছেড়ে দিবে না, আপনাকে ওদের স্ট্যান্ডার্ড এ উঠতে হবে, যোগ্যতার প্রমান দিতে হবে।

শেষ করছি বিখ্যাত দার্শনিক ও রোমান সাম্রাজ্যের সফল রাস্ট্রনায়ক কিংবদন্তি মার্কাস অরেলিয়াস এর উক্তির মাধ্যমে-

Our life is what our thought makes it
(আমাদের কর্মপদ্ধতিই আমাদের ভবিষ্যত নির্ধারণ করে)
লেখক
ডা: মোহাম্মদ ফতেহ আলী
ফ্যামিলী ফিজিশিয়ান
ইয়র্স্টোন মেডিকেল ক্লিনিক
উইলিয়ামস লেক, ব্রিটিশ কলাম্বিয়া
কানাডা।