অনলাইন ডেস্ক : ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্দেশে হুশিয়ারি দিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অনেক হয়েছে। এভাবে আর চলতে পারে না। অবিলম্বে পদত্যাগ করুন, অবিলম্বে জনগণের চোখের ভাষা পড়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় জনগণের উত্তাল ঢেউ সৃষ্টি হবে সেই ঢেউয়ে আপনারা সবাই ভেসে যাবেন।

রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব বলেন।।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বিশেষ বিশেষ শক্তিতে বলীয়ান হয়ে দেশে একব্যাক্তির শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চলেছে। আওয়ামী লীগের সরকার গণতন্ত্রকে বিশ্বাসই করে না। শুধুমাত্র জনগণকে বোকা বানানোর জন্য তারা গণতন্ত্রের মুখোশ পড়ে তাদের শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চলেছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের অন্যায়ের প্রতিবাদে মানববন্ধন, মিছিল, হরতাল বহু কিছু করেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই সরকারের টনক নড়াতে পারিনি। কারণ তারা বিশেষ বিশেষ শক্তিতে বলীয়ান হয়ে আছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, জনগণের উদ্দেশেও বলতে চাই, আপনারা আর নিশ্চুপ হয়ে থাকবেন না। যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে আজকে যদি প্রতিবাদ না করি, রুখে না দাঁড়াই তাহলে ১৯৭১ সালের আমরা যে স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিলাম, আমরা যে ১৯৯০ সালে গণতন্ত্রের জন্যে লড়াই-সংগ্রাম করেছিলাম, যে গণতন্ত্রকে আমরা ছিনিয়ে নিয়ে আসছিলাম সেই গণতন্ত্রকে তারা আবার হরণ করবে চিরতরে। তাই সবাইকে আজকে রুখে দাঁড়াতে হবে, অধিকারকে ফিরিয়ে আনতে হবে, গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে।

তিনি বলেন, দানবীয়-হাইব্রিড-স্বৈরাচারী-পুতুল সরকারের বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষ জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির আহবান জানাচ্ছি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার ভিন্নমতকে স্তব্ধ করে দেয়ার জন্য সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ এবং সাধারণ মানুষ যারা ভিন্ন পোষন করে লেখালেখি করে, সোশ্যাল মিডিয়াতে কোনো কথা বলে তখনই তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়। যে মামলাতে সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে; একটা মিথ্যা অপবাদ, একটা অপব্যাখ্যা এবং সেই সঙ্গে আইনের একটা অপব্যাখ্যা দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে বিনা জামিনে আটকে রাখা হয়েছে।

সরকার নির্বাচন নির্বাচন খেলা করছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই নির্বাচন কমিশন ও সরকার যৌথভাবে এই নির্বাচনকে একটা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে ক্ষমতায় টিকে থাকবার জন্যে। তারা নির্বাচনের নামে আজকে ত্রাস সৃষ্টি করেছে।

সংগঠনের নেতা সাংবাদিক শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সদস্য অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেনের পরিচালনায় মানববন্ধনে ছড়াকার আবু সালেহ, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে (একাংশ) মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে (একাংশ) সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের অধ্যাপক আবদুল করীম, শামীমুর রহমান শামীম, প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেনসহ পেশাজীবী নেতারা বক্তব্য দেন।