অনলাইন ডেস্ক : গত ২৪ জানুয়ারি, বুধবার ব্যাংক অফ কানাডার গভর্নর টিফ ম্যাকলেম দেশের অর্থনীতির ত্রৈমাসিক পরিস্থিতি ও মুদ্রানীতি সম্পর্কীত এক প্রতিবেদন সম্পর্কে প্রেস কনফারেন্সে কথা বলতে গিয়ে কানাডায় অতি সা¤প্রতিক সময়ে আবাসন ব্যয়ের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অতি মাত্রার অভিবাসনের দিকে ইংগিত দিয়েছেন। তবে তিনি উল্লেখ করেন, অস্থায়ী বাসিন্দাদের সংখ্যা কমানো এবং নতুন বাড়ি তৈরিতে উৎসাহিত করার সা¤প্রতিক সরকারী প্রচেষ্টা ধীরে ধীরে আবাসন খরচ কমাতে সাহায্য করবে।
প্রেস কনফারেন্সে ব্যাংক অফ কানাডার সিনিয়র ডেপুটি গভর্নর ক্যারোলিন রজার্স বলেছেন, সীমাবদ্ধ সরবরাহের মধ্যে অল্প সময়ে জনসংখ্যার দ্রæত বৃদ্ধি দামের উপর ঊর্ধ্বমুখী চাপ সৃষ্টি করবে। গত বছরে কানাডিয়ান অর্থনীতিতে যা ঘটেছে তা হল অভিবাসনের মাধ্যমে জনসংখ্যা বৃদ্ধির বড় ঢেউ, যা এমন এক সময়ে ঘটেছে যখন সরবরাহে সীমাবদ্ধতা ছিল। স্পষ্টভাবে এর সবচেয়ে বড় প্রভাব আবাসন খাতে দেখা গিয়েছে, বিশেষ করে ভাড়ার ক্ষেত্রে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, বন্ধকী সুদের খরচ বছরে প্রায় ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে, যেখানে ভাড়ার খরচ বার্ষিক প্রায় ৮ শতাংশ হারে বাড়ছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, যদিও উচ্চতর বীমা ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ, নির্মাণ শ্রমিকের ঘাটতি ও কষ্টকর জোনিং এবং অনুমতি প্রবিধানের মত একাধিক কারণ আবাসনের ক্রমবর্ধমান খরচ বৃদ্ধির কিছু প্রধান কারণ, কিন্তু অভিবাসিদের চাপও একটি অন্যতম কারণ হিসাবে দেখা দিয়েছে।
অতীতের তুলনায় নতুন অভিবাসীদের বড় আকারে আগমন আবাসন খাতে কাঠামোগত সরবরাহের সীমাবদ্ধতার চাপ যোগ করছে। এটি সামগ্রিক আবাসন শূন্যতার হারকে রেকর্ড নি¤েœ ঠেলে দিতে সাহায্য করেছে, যার ফলে বাড়ির দাম কমেছে এবং ভাড়ার উচ্চ মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০২৪ সালে ৫ লাখ স্থায়ী বাসিন্দা নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে লিবারেল সরকারের। সে লক্ষ্যে তারা বার্ষিক স্থায়ী অভিবাসী গ্রহণের হার বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। ২০২১ সালে যেখানে ৪ লাখ ৫০০০ অভিবাসীকে গ্রহণ করা হয়েছিল, সেখানে ২০২২ সালে আরও অতিরিক্ত ৬০ হাজার, অর্থাৎ ৪ লাখ ৬৫ হাজার অভিবাসীকে স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।
১৯৫৭ সালের পর এক বছরের হিসেবে সর্বোচ্চ জনসংখ্যা বৃদ্ধির রেকর্ড গড়েছে কানাডা। পরিসংখ্যান কানাডার হিসেব মতে, ১ জুলাই ২০২৩ পর্যন্ত স্থায়ী এবং অস্থায়ী বাসিন্দা মিলে কানাডায় মোট জনসংখ্যা বৃদ্ধি রেকর্ড করা হয়েছে ১১ লাখ ৫৮ হাজার ৭০৫ জন। যা ১ জুলাই, ২০২২-এর তুলনায় ২.৯ শতাংশ বেশি। সংস্থাটি বলেছে, এই বৃদ্ধির ৯৮ শতাংশ হয়েছে অভিবাসনের কারণে, বাকিটা প্রাকৃতিক বৃদ্ধির কারণে। সূত্র : সিবিসি নিউজ