অনলাইন ডেস্ক : সুশান্ত সিং রাজপুতের জীবনে একাধিক নারী ছিল৷ হামেশাই তাঁর সঙ্গে কোনো না কোনো নারীর প্রেমের কথা শোনা যেত। তবে বিটাউনে সুশান্তের চর্চিত এসব প্রেমকাহিনি তাঁর বাবার কানে সেভাবে পৌঁছায়নি। তিনি শুধু তাঁর ছেলের জীবনে একটি নারীর অস্তিত্ব সম্পর্কে জানতেন। আর তিনি অঙ্কিতা লোখন্ডে।

সুশান্ত তাঁর পেশাগত জীবনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে হামেশাই খবরে উঠে আসতেন। এই বলিউড তারকার অভিনয়জীবনের শুরুতেই ‘পবিত্র রিশতা’ মেগাসিরিয়ালের সহকর্মী অঙ্কিতার সঙ্গে গভীর প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। অঙ্কিতাকে প্রেমের জন্য রাজি করাতে সুশান্তের প্রায় দুই বছর সময় লেগেছিল। এরপর ২০১০ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত টানা ছয় বছর তাঁদের প্রেম পর্ব চলেছিল। একই ছাদের নিচে থাকতেন এই তারকা জুটি। তবে অঙ্কিতার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সুশান্তের জীবনে একাধিক নারী ধূমকেতুর মতো এসেছেন, আবার চলেও গেছেন। কৃতি শ্যানন, সারা আলী খান, রিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে তাঁর ভালোবাসার কথা বারবার উঠে এসেছে। তবে সুশান্তের বাবা সুদূর পাটনায় বসে একজনের সঙ্গেই ছেলের সম্পর্কের কথা জানতেন। তিনি অঙ্কিতা লোখন্ডে। সম্প্রতি এক পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন সুশান্তের বাবা কেকে সিং। তিনি বলেছেন যে তাঁর ছেলের জীবনে অন্যান্য নারীর অস্তিত্ব সম্পর্কে তিনি অবগত ছিলেন না। সুশান্তের সঙ্গে অঙ্কিতার গভীর সম্পর্কের কথা তিনি জানতেন বলে জানিয়েছেন। এমনকি সুশান্ত অঙ্কিতার সঙ্গে তাঁর বাবার সাক্ষাতও করিয়ে দিয়েছিলেন। সুশান্তের মৃত্যুর পর অঙ্কিতা পাটনায় ছুটে গিয়েছিলেন। সুশান্তের বাবা জানিয়েছেন যে অঙ্কিতা পাটনায় এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন।

সুশান্তের শেষকৃত্যের সময় তাঁর বাবার পাশে সর্বক্ষণ বসেছিলেন কৃতি শ্যানন। সুশান্ত খুব ভালো ছেলে, এ কথাও কৃতি তাঁর বাবাকে বলেছিলেন। তবে ছেলের মৃত্যুর আগে সুশান্তের বাবা কৃতিকে চিনতেন না। পরে কৃতি সম্পর্কে জানতে পারেন তিনি। সুশান্তের জীবনে শেষ নারী, অর্থাৎ রিয়া চক্রবর্তী সম্পর্কেও কেকে সিং কিছু জানতেন না বলে জানিয়েছেন।

এ বছর নভেম্বরে সুশান্তের বিয়েকে ঘিরে যে গুঞ্জন উঠেছিল, তা স্বীকার করেছেন তাঁর বাবা। সুশান্ত তাঁর বাবাকে বলেছিলেন যে শিগগিরই তাঁর একটা ছবি মুক্তি পাবে। আর তারপরই বিয়ের পরিকল্পনা করবেন সুশান্ত৷ এ বছরের শেষ বা আগামী বছরের শুরুতে সুশান্ত বিয়ে করবেন বলে তাঁর বাবাকে জানিয়েছিলেন। তবে পাত্রী কে, এ ব্যাপারে সুশান্ত তাঁর বাবার কাছেও কিছু খোলাসা করেননি।

সুশান্ত ছোটবেলা থেকেই খুবই চাপা স্বভাবের ছিলেন। নিজের মনের কথা মনেই চেপে রাখতে ভালোবাসতেন বলে জানিয়েছেন তাঁর বাবা। এমনকি সবার সঙ্গে সুশান্ত খুব বেশি কথাবার্তাও বলতেন না। তবে মাঝেমধ্যে সুশান্ত তাঁর বাবার সঙ্গে নানা কথা বলতেন। তবে গত কয়েক বছরে আবার সুশান্তের মধ্যে পরিবর্তন আসে বলে তাঁর বাবা জানিয়েছেন। কেকে সিং বলেছেন যে সুশান্ত আবার খুব চুপচাপ হয়ে গিয়েছিলেন। কোনো প্রশ্ন করলে ঠোঁটের কোণে আলতো হাসি হেসে এড়িয়ে যেতেন। এই হাসির পেছনে কতটা যন্ত্রণা লুকিয়ে আছে, তা সুশান্ত তাঁর বাবাকে কখনো বুঝতে দেননি।

সুশান্তের বাবা এই সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে তিনি এবং তাঁর স্ত্রীর বহু প্রার্থনার পর সুশান্ত তাঁদের জীবনে এসেছিলেন। চার কন্যা সন্তানের পর সুশান্তের জন্ম হয়৷ এর আগে সুশান্তের মায়ের মৃত্যুর পর এই বলিউড নায়ক চুপচাপ হয়ে যান বলেও জানান এই পিতা।